ইমাম খাইর, সিবিএন:
মিয়ানমারের আরকানে রোহিঙ্গাদের উপর চালানো বর্বরতাকে চরম গণহত্যা বলে দাবি তুলেছেন জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। একই সাথে সে দেশের সেনাদের অত্যচার নির্যাতন বন্ধে অবিলম্বে জাতিসংঘ থেকে মিয়ানমারে শান্তিরক্ষী পাঠানোর দাবি করেছেন তিনি।

বৃগস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উখিয়ার বালুখালিতে জাতীয় পার্টি আয়োজিত রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রান বিতরণ ও সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

এরশাদ উপস্থিত নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের উদেশ্যে বলেন, আপনারা নির্যাতিত। যতদিন ফিরে যাবেন না, ততদিন এদেশের মানুষ আপনাদের পাশে আছে, থাকবে।

এরশাদ বলেন, একটা জাতির ওপর এভাবে বরর্বরতা চলতে পারে না। সভ্য যুগে এটি বেমানান। অবিলম্বে এ বর্বরতা বন্ধ না করলে মিয়ানমারে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানাচ্ছি।

টেকনাফ উপজেলা জাপার সভাপতি শফিক আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরুল ইসলাম নুরু, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলু, মেজর খালেদ আকতার, সোলায়মান আলম শেঠ, ইয়াহিয়া চৌধুরী এমপি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাপা সভাপতি আলহাজ্ব মোহাং ইলিয়াছ এমপি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মুহাম্মদ মোহিব্বুল্লাহ, মুফিজুর রহমান, জেলা জাপার সাবেক সভাপতি কবির আহমদ সওদাগর, কক্সবাজারসস্থ উত্তরবঙ্গ কল্যান সমিতির সভাপতি নীলফামারী-৩ আসন থেকে জাপার এমপি মনোয়ন প্রত্যাশী ডাঃ মোঃ বি আলমগীর প্রমুখ, জেলা জাপার সহ-সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন দুলাল, নাজিম উদ্দিন চেয়ারম্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব রুহুল আমিন সিকদার, উখিয়া উপজেলা সভাপতি নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো প্রমুখ।

মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে বৃহস্পতিবার বেলা পৌঁনে ১২ টায় ২৫ সদস্যের একটি দল নিয়ে বেসরকারী একটি বিমানে করে কক্সবাজার পৌঁছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মু. এরশাদ। সেখানে অপেক্ষমান দলীয় নেতা কর্মীরা এরশাদকে স্বাগত জানান। এরপর তিনি গাড়ীর বহরসহ ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তারা সড়ক পথে প্রথমে বালুখালী ও পরে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ করেন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বিমানযোগে কক্সবাজার ত্যাগ করবেন জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোঃ এরশাদ।